বিনোদন ডেস্ক : বলিউড তারকা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু নিয়ে তদন্ত করে যাচ্ছে মুম্বাই পুলিশ। গতকাল শনিবার যশরাজ ফিল্মসের কাস্টিং ডিরেক্টর শানু শর্মাকে জেরা করা হয়েছে বান্দ্রা পুলিশ স্টেশনে। একের পর এক তথ্য উঠে আসছে তদন্তে। তার মাঝেই অভিনেতার মৃত্যুর তদন্তে উঠে এল আরও একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য। ‘বাথরোব বেল্ট’ দিয়ে প্রথমটায় আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছিলেন সুশান্ত।
সূত্রের খবর, ১৪ তারিখ সুশান্তের মৃত্যুর পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছলে যে ঘরে তার দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়, সেখানেই পাওয়া গিয়েছিল একটি ‘বাথরোব বেল্ট’।যেটি মেঝেতে দু’টুকরো হয়ে পড়েছিল।আর সুশান্তের দেহ তখন বিছানায়।
উপরে ঝুলছে ফাঁস লাগানো সবুজ একটি কুর্তা। পুলিশের অনুমান, সুশান্ত প্রথমটায় এই ‘বাথরোব বেল্ট’ দিয়েই আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছিলেন। পরে সেটি ছিঁড়ে যাওয়ায় সবুজ কুর্তা নেন গলায় ফাঁস দেওয়ার জন্য। উল্লেখ্য, তদন্তে এও উঠে এসেছে যে অভিনেতার বিছানা থেকে সিলিংয়ের উচ্চতা ৫ ফুট ১১ ইঞ্চি আর সুশান্তের উচ্চতা ৫ ফুট ১০ ইঞ্চি।
এবার প্রশ্ন আদৌ কি ওই সবুজ কুর্তা সুশান্তের ওজন ধরে রাখতে সক্ষম? তা জানতে পুলিশ অবশ্য ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে ওই কুর্তা। এমনকি, সুশান্ত বিষাক্ত কিছু খেয়েছিলেন কিনা, সেটিও পরীক্ষা করে দেখছে ফরেনসিক দল।আশা করা হচ্ছে, খুব শিগগিরিই সেই ফরেনসিক পরীক্ষার রিপোর্ট চলে আসবে।পুলিশ সূত্রে খবর, অভিনেতার আত্মহত্যার পর যাঁরা ফ্ল্যাটে ছিলেন, তাঁরাই নাকি সবুজ কুর্তাটা কেটে সুশান্তের দেহ নামিয়ে রেখেছিলেন বিছানায়।তবে মেঝেতে পড়ে থাকা ছেঁড়া বাথরোব বেল্টটি দেখে বান্দ্রা পুলিশের সন্দেহ হয়।
এই বিষয়ে এক পুলিশ কর্মকর্তার বক্তব্য, বেল্টের টুকরোটি মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে আমাদের সন্দেহ হয়। পরে তদন্ত করতে গিয়ে আমরা বুঝতে পারি, অভিনেতা হয়ত প্রথমে দেখার চেষ্টা করছিলেন ওই বাথরোব বেল্টটি দিয়ে আদৌও নিজেকে ঝোলানো সম্ভব কিনা?
তবে সেটি হয়ত ছিঁড়ে যায়।তদন্তের সময় আমরা সুশান্তের ঘরে গিয়ে দেখি, ওর আলমারি খোলা, ইস্ত্রি করা সমস্ত জামাকাপড় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে। আমাদের ধারনা বাথরোব বেল্টটি ছিঁড়ে যাওয়ার পরেই সুশান্ত আলমারি থেকে কুর্তাটি টেনে বের করেন, তখনই জামাকাপড় গুলি ছড়িয়ে পড়ে যায়।যদিও গোটা তদন্তে এখনও পর্যন্ত আমরা অন্য কোনওরকম সন্দেহজনক কিছু দেখিনি।এমনকি ময়নাতদন্তের রিপোর্টও বলছে, অভিনেতার দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন